Header Ads

হীনমন্যতা (Part 1)

আজকে হঠাৎ করে জীবনের কিছু বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে করতে আমাদের সমাজের কিছু ক্ষুদ্র বিষয় চোখে পড়লো। হয়তো এটি কারো কাছে বিশাল ইস্যু ও মনে হতে পারে। আগে ছোট একটি গল্প দিয়েই শুরু করি পরবর্তীতে এর ব্যাখ্যা দেয়ার ট্রাই করবো পজিটিভ এন্ড নেগেটিভ দুই ধরনের ব্যাখ্যাই দিবো।গল্পটা হলো একটি তরুনের ভালোলাগার গল্প.. গল্পকার এর মত করেই উপস্থাপন করছি,সকাল বেলা হুট করে ফোনটা বেজে উঠলো অনেক কষ্ট করে ধরলাম।কণ্ঠস্বর ঠিক চিনতে পারলাম নাহ,১-১.৫ মিনিট কথা বলার পর যখন ঘুমের ঘোরটা কেটে গেলো তখন বুঝতে পারলাম আসলেই এই নারী কন্ঠটি আমারই ব্রেস্ট ফ্রেন্ড এর..যাইহোক আজকে ওর আসার কথা ছিলো,কালকেই কথা হয়েছিল..সকালে ঘুম ভাংগানোর জন্য ফোন দিতে বলেছিলাম।আমিও এলার্ম দিয়েছিলাম বাট টের পাইনি,আমার এলার্মে কখনই ঘুম ভাংগে নাহ।দুপুর এর সময় কিন্তু এটাই সকাল।যাইহোক মতিস্ক যখন সব বোধগম্যতা ফিরে পেলো তখন শরীরের সবটুকু আলসেমিকে অগ্রাহ্য করলাম,আমি কখনই আমার ঘুম ও আলসেমিকে অগ্রাহ্য করতে পারি নাহ,ওদের আসতে লেট হবে কিছুটা তাই শুনে আর আমার আলসেমি অগ্রাহ্য করতে পারলাম নাহ..এবার কিন্তু আর কোনো এলার্ম দেয়া হলো নাহ,তারপরও আমি ৩০ মিনিট পর আমার আলসেমি অগ্রাহ্য করে ওঠে স্নান করে রেডি হয়ে চলে গেলাম,ফার্মগেট..আজ ধুলা একটু মনে হচ্ছে,অনেকদিন পর দিনে বের হলাম..ঢাকার জ্যামের অবস্থা আমার একদম ই ভালো লাগে নাহ,অবশ্য কারোর ই ভালোলাগার কথা নাহ।অনেকদিন পর বের হওয়ার কারনে ভালোই লাগছে হয়তো দিনের আবহাওয়া।যাইহোক মন ভালো পকেটের অবস্থা আজকে ভালো থাকায় রিক্সায় করেই রওনা দিলাম ফার্মগেটের উদ্দেশ্যে। পৌছালাম ২০ মিনিটের মধ্যেই বাট স্বভাবতই আজও লেট ৪০ মিনিট,যাইহোক এখনও কারো সাথে পরিচয় করে দেয়া হয়নি,আমি রিহান আমার বেস্ট ফ্রেন্ডের নাম রুনা ও ওর একজন ভার্সিটির ফ্রেন্ড এসেছিলো ওর নাম নীলা। ওর দেয়া গন্তব্য স্থান ছিলো শপিং মল,সব মেয়েদের মনে হয় শপিং মল এর চেয়ে আর কোনো পছন্দের জায়গা আছে বলে আমার মনে হয় নাহ..! আর ওর সাথে প্রায় বছর খানেক পর দেখা হবে হয়তো..অনলাইনে কথা তে হয়..আপনারা ভাবছেন বেস্ট ফ্রেন্ডের একবছর পর দেখা..আমি এরকম ই..!!আমি বছরের বেশির ভাগ সময় এনালগ টাইম জোনে থাকি..!যাইহোক আমাকে নিয়ে বলতে গেলে হয়তো হিমুর মত চরিত্র তৈরি হয়ে যাবে।প্রথম দেখাতে কেন যেন ভালো লাগলো আমার ফ্রেন্ডএর ফ্রেন্ডকে।চোখ সরাতে পারতেছিলাম নাহ,ইচ্ছাশক্তিকে অগ্রাহ্য করে চোখ সরাতে হলো।ছেলেসূচক একটু এটিটিউড দেখিয়ে আমার রুনার সাথে কথা বললাম। তারপরই ওই অনেকটা ফরমালি ওর সাথে পরিচয় করায় দিলো নীলা এর সাথে.. তারপর শুরু হলো অনুভূতির খেলা..ওদের কিছু কাজ ছিলো আমি জাস্ট সারাদিন সংগ দিলাম।সত্যি বলতে কি খুব ভালো লেগেছিল, সারাদিন কিছু খাইনি কিন্তু আজ কেনো যেনো ক্ষুধার অনুভূতি আমাকে তাড়না করছে না..দিন শেষ হলো ওদের কাজ গুলো শেষ করতে হুট করে বিদায় নেবার সময় চলে এলো..বিদায় প্রায় নেয়া হচ্ছে..কিন্তু মন কিছুতেই ছাড়তে চাচ্ছে নাহ.আমার এই মোটা মাথায় আর কোনো বুদ্ধি আসছে না,হুট করে মাথায় কেনো বুদ্ধি এলো রুনা কে বললাম আমার এই চাকরি যেটা করছি এটার ট্রিট তো তোকে দেয়া হয়নি,আজ চল তোকে ট্রিট দেই। ট্রিট কথায় রাজি হয়ে গেলো..,ট্রিটের অছিলায় আরও কিছু নীলাকে তো দেখতে পারবো..বুঝতেছিলাম না হুট করে একটা মানুষের প্রতি এত অনুভুতি আমার প্রথম প্রেমেও এত অনুভুতি ছিল না..এত কম সময়ে এত ভালোলাগা কেন কাজ করতেছে..!! ট্রিট এর অছিলায় ৪০ মিনিট পার হলো..আবার ও বিদায় লগ্ন..!!

হাহা বিদায় এর সময় এসে গেলো..এইবার বাস পর্যন্ত উঠায় দিতে বেশ খানিক সময় পাওয়া গেলো।বাট রুনার সাথে কথা বলার কারনে ওর দিকে আর ভালো মতো তাকাতে পারি নি.....চলে গেলো রুনা সাথে নীলাও।শেষ পর্যন্ত আর কোনো কথা হলো না,জাস্ট বাই বলে বাসে উঠে পড়লো...চলে গেলো তারা.. ওকে নিয়ে ভাবছি..দুপুরে বেরিয়েছি এখন রাত। শীতের কাপড় ও পরা হয় নি..ঠান্ডা লাগছে সিগারেট ধরিয়ে চিন্তা ও ঠান্ডা নিবিরনোর তীব্র প্রচেস্টা।বাট তা আর হলো নাহ.. এত ভালোলাগা কেনো..!!তেমন কথাও হয়নি,সব আমার মনে মনে চলছে। বাড়িতে এসে আর কিছু ভালো লাগছিল না।অনেক চিন্তার পর রুনাকে বললাম ভালোলাগার কথাটা শর্ত একটাই নীলাকে বলা যাবে নাহ..রুনা আমার অনুভুতি  গুলোকে সম্মান করে,সব শোনার পর, রুনা বললো রিজু নামের আমাদের এক ফ্রেন্ড ওকে আগে থেকেই পছন্দ করে। কথাটা গায়ে তেমনটা লাগলো নাহ। বাট পরের কথাটা খুব গায়ে লাগলো..নীলার কোনো প্রেমিক নেই আর ওর প্রেম করারও ইচ্ছা নেই।কিন্তু ওর আর ওর ফ্যামিলির ইচ্ছা নীলার বিয়ে হবে খুব বড় একটা ডাক্তার এর সংগে..কথাটা সাধারন কিন্তু খুব কষ্ট পেলাম।তেমন কোনো আর কথা বললাম না,রুনার সাথে।

                                                 Photo by Daniel Reche from Pexels
কথাটা গায়ে লাগার অনেক গুলো কারন রয়েছে,প্রথমত হলো আম্মুর খুব ইচ্ছা ছিলো আমাকে ডাক্তার বানানোর বাট সেটা সম্ভব হয়নি কারন ইন্টারে আম্মুর মৃত্যুর পর সিরিয়াসলি লেখাপড়া না করার কারনে..এই জীবনের হতাশা আর হীন্যমন্নতা  চাড়া দিয়ে উঠলো সমাজ কতৃক অবহেলায়, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর আন্ডারে পরা কলেজের স্টুডেন্ট এর সেই পূর্বের হতাশা গুলো মাথা   চাড়া দিয়ে উঠলো। এত কস্ট করে নিজের দায়িত্ব নেয়ার পর যখন প্রায় লাইফের সব হতাশা কেটে সম্ভবনাময় ক্যারিয়ার এর দিকে এগুচ্ছি নতুন স্বপ্ন বুনছিলাম।আবার ব্যর্থতার সেই পদচিহ্ন আবার আমাকে হানা দিচ্ছে..!!নিজেকে আবার ব্যর্থ মনে হচ্ছে..এতদিনের সব পরিশ্রম বৃথা মনে হচ্ছে..৫-৬ ঘন্টার একটা অনুভূতি এত দাগ কাটবে বুঝতে পারি নি..এর জীবনের প্রথম প্রেমটা ছিল ৭ বছর আগে মাত্র ১ মাসের,প্রেমিকা আমার ঠিক ১ মাসের মধ্যে মুভ অন করে আমার লাগলো ৭ বছর।আজ প্রথম কাউকে ভালো লাগলো অল্প সময়ের জন্য,মনে হচ্ছিলো লাইফে মুভ অন করার কথা।কিছু রুনার কথাটা কেন যেনো মাথায় ঘুরছে বার বার। ডাক্তার ছেলে দরকার নীলা ও তার বাবার...!!শোনা হলো রিহানের সেই গল্পটি এখন আমি আমার কিছু মন্তব্য বলি.. রিহান তার লাইফে নানা প্রতিকুলতার ফলে আজকে যখন একটা ভালো জব করছে স্টুডেন্ট থাকা অবস্থায় এবং তাই নয় সমাজের কমবয়সী তরুনদের মধ্যে খুব ধনী না হলেও ভালো একটা অবস্থান, সফলতার দার প্রান্তে হাটছে তখন একটি বিষয় তাকে কষ্ট দেয়,তা যর্থাথ ও বটে...

comment for next part.

No comments

Powered by Blogger.